বিতর্ক পাঠশালা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
বিতর্ক পাঠশালা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বুধবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১২

ই.ডাব্লিউ.ইউ ডিবেট স্প্রী ২০১২ , নতুন কিছু নিয়ম

এই বিতর্ক প্রতিযোগিতায় নতুন কিছু নিয়ম চালু হয়েছে । সেই গুলো দেওয়া হল
১. প্রত্যেক বক্তা গঠনমূলক পর্বে ৭ মিনিট করে বক্তব্যের সুযোগ পাবেন। যুক্তিখন্ডন ৩ মিনিট।

২. গঠনমূলক পর্বের দ্বিতীয় মিনিটের পর থেকে ষষ্ঠ মিনিটের শেষ পর্যন্ত ‘POI’ ও ‘POP/POO’ উত্থাপন করা যাবে। যুক্তিখন্ডন পর্বের প্রথম মিনিটে কোন পয়েন্ট উঠানো যাবেনা, শেষ দুই মিনিটে ‘POP/POO’ উত্থাপন করা যাবে।

৩. একজন বক্তাকে নিম্নে ২টি ‘POI’ গ্রহন করতেই হবে। অন্যথায় ঋণাত্নক নম্বর প্রদান করা হবে।

৪. একজন বক্তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ৩টি ‘POP/POO’ উত্থাপন করা যাবে।

৫. প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পরে বিরোধীদলীয় নেতা তার দলীয় অবস্থান গুছিয়ে নেয়ার জন্য ১ মিনিট সময় পাবেন।

৬. বিতর্কে প্রধানমন্ত্রীর সংজ্ঞা যদি মেনে নেয়া হয় তবে তা পুরো বিতর্কে পরিবর্তন করা যাবেনা। তবে এখানে উল্লেখ থাকে যে, প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বিতর্কের প্রপঞ্চ কিংবা সূচক (parameter) সংজ্ঞায়নের অন্তর্ভুক্ত হবেনা। বিরোধীদল এর বাইরে গিয়ে নতুন সূচক আনতে পারবেন, তবে তাকে প্রমান করতে হবে যে, উক্ত সূচকটি বিতর্কের সাথে সংশ্লিষ্ট।

৭. যদি প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা তার দলের কাজ ভাগ করে দেন, সেক্ষেত্রে মন্ত্রী কিংবা উপনেতা নতুন যুক্তির (পূর্ব নির্ধারিত/বন্টিত যুক্তির বাইরে) অবতারনা করতে পারবেন না। তবে যদি কাজ ভাগ করে দেয়া না হয় সেক্ষেত্রে মন্ত্রী কিংবা উপনেতা নতুন যুক্তির অবতারনা করতে পারবেন, তবে তা কোন ভাবেই সাংঘর্ষিক হতে পারবে্না এবং বিতর্ককে নতুন দিকে প্রবাহিত করতে পারবেনা।

৮. সংসদ সদস্য কোন নতুন যুক্তির অবতারনা করতে পারবেন না। যুক্তিখন্ডন পর্বে কোন নতুন যুক্তির অবতারনা করা যাবেনা।

৯. বিরোধীদলীয় নেতা তার বক্তব্যের সময়ে যদি এমন বিষয়ের অবতারনা করেন যা কিনা সংসদীয় রীতি বিরোধী (i.e., চ্যালেঞ্জ না করে সংজ্ঞায়নের পরিবর্তন, সরকারি দলের অবস্থানকে নিজের অবস্থান হিসেবে আখ্যা দেয়া, সরকারি দলের অবস্থানের ভুল ব্যাখ্যা দেয়া ইত্যাদি যা বিতর্ককে ঘুড়িয়ে দিতে পারে) তবে তা সাথে সাথে ‘POP/POO’ এর মাধ্যমে স্পীকারের দৃষ্টি আকর্ষন করতে হবে। অন্যথায় পরবর্তিতে এই নিয়ে কোন ‘POP/POO’ উত্থাপন করা যাবেনা।

১০. ট্রুয়িজম ও টটোলজি ছাড়া অন্য কোন ক্ষেত্রে সংজ্ঞা চ্যালেঞ্জ করা যাবেনা। সংজ্ঞা চ্যালেঞ্জের ক্ষেত্রে অবশ্যই ট্রুয়িজম ও টটোলজি উল্লেখ করতে হবে।

বুধবার, ১৬ মে, ২০১২

বারোয়ারী বিতর্ক

বারোয়ারী বিতর্ক বিতর্ক ফরম্যাট গুলোর মধ্যে অন্য রকম একটি ফরম্যাট ।
আমরা মুলত দেখতে পাই যে বিতর্ক গুলো দলগত  হয় এবং দলগত ভাবেই ফলাফল প্রকাশ করা হয় । এখানে ব্যক্তি বিতার্কিকের থেকে দলের বিতার্কিক ব্যাপারটি মুলত আলোচনায় আসে। বারোয়ারী বিতর্ক এর থেকে বাইরে চলে আসে । যেখানে একটি বিষয়ের উপর বিভিন্ন জন বিভিন্ন মতবাদের কথা বলে। এই বিতর্কে আমরা public speaking কিনবা উপস্থিত বক্তৃতার সাথে তুলনা করতে পারি। এই বিতর্কের বিষয় হয় অনেকটা মুক্ত ধরনের । যেমন হতে পারে " আজ হতে শত বছর পর..." এখানে বিতার্কিকরা বিভিন্ন দিক থেকে বক্তিতা নিয়ে আসবে, এই বিতর্কে শিল্পের প্রয়োগ দেখা যায় । তার কারন এই বিতর্ক মুক্ত ভাবে চিন্তা করার ও তা বলার নিশ্চয়তা দেই । একটি বিষয়ের উপর ১০ জন কিনবা ১৪ জন নিজেদের মতামত নিয়ে আসছে তাও ভিন্ন ভিন্ন দিক থেকে ...।এখানেই বারোয়ারী বিতর্কের  প্রার্থক্য । এই বিতর্কে আবেগের ব্যবহার করাটাও লক্ষ করা যায় । আসে হাসি , উৎসবের গল্প । আত্ম সমালেচনা করাও যায় এখানে । মোট কথা বারোয়ারী বিতর্ক কোন বিতার্কিকের মন খুলে ভাবার জায়গা এবং সেটিকে যুক্তি ও শিল্পের মাধ্যমে প্রকাশ করার সুযোগ।


নিম্নে কিছু বারোয়ারী বিতর্কের বিষয় দেওয়া হল


তোরা যে যা বলিস ভাই ...
মুক্তির পথে...
আমরা করব  জয়...
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া ...
আমারও ইচ্ছা করে ...

সোমবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১২

মাত্রা বিতর্ক

এই বিতর্কটা মূলত প্রতিযোগিতা গুলোতে হয় না সাধারণত ।ফরিদপুরে ফরিদপুর ডিবেটিং ফোরাম( এফডিএফ) এই বিতর্ক তাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে করে থাকে।
এই বিতর্কে তিনটি দল থাকে । ৩ জন বা ২ জনের দল হতে পারে। একটি দল পক্ষে কথা বলে , একটি বিপক্ষে এবং আরেকটি দল দুই পক্ষের স্ট্যান্ডের মাঝামঝি সম্বনয় করে কথা বলে।
বিতর্কের বিষয় হয় সাধারণত তুলনামুলক ।যেমন ৭১ নয় ৫২ সেরা । একদল ৫২  সেরা তার জন্য যুক্তি প্রদান করবে , বিপক্ষ ৭১ কে সেরা প্রমান করবে । আর মাঝের দলটা ৫২ বা ৭১ এর পক্ষে না গিয়ে দুটি জিনিস নিয়ে কথা বলতে পারবে যেমন তারা বলতে পারে যে দুটি সময়ের বিচারে দুটিই হয়ত সেরা কিন্তু আমাদের জীবনের গুরুত্বে কোনটাই কম না।

 ক্রমঃ  প্রথমে পক্ষ ১ম , তারপর বিপক্ষ ১ম তারপর মাঝের ১ম ,
তারপর পক্ষ ২য় , বিপক্ষ ২য় এবং শেষ এ মাঝের ২য়

সাধারণত কোন যুক্তি খণ্ডন থাকে না ।

মাত্রা বিতর্ক এখন ও আমাদের দেশে তেমন ভাবে প্রচলিত নয় । আমরা আশা করি এটি বাংলাদেশে ছরিয়ে যাবে ।

রবিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১২

সনাতনী বিতর্ক

সনাতনী বিতর্ক

সনাতনী বিতর্কে দুটি দল থাকে।একটিকে বলা হয় পক্ষ দল এবং অপরটিকে বলা হয় বিপক্ষ দল  
যিনি বিতর্ক পরিচালনা করেন তাকে বলা হয় সভাপতি।একটি বিষয় থাকে যেটির পক্ষে পক্ষ দল কথা বলে অপর দিকে বিপক্ষ দল সেটির বিরোধীতা করে ।
সনাতনী বিতর্কে দুটি পর্ব থাকে
  1. গঠনমূলক পর্ব   
  2. যুক্তিখন্ডন পর্ব  
গঠন মূলক পর্বঃ  এই পর্বে প্রত্যেক বক্তা ৫ মিনিট করে সময় পায় নিজের বক্তব্য প্রদানের জন্য।  নিম্নের পর্যায়ক্রমে বিতর্ক এগিয়ে যায়ঃ
                     
                                     পক্ষ দল                            বিপক্ষ দল
  1.                 প্রথম বক্তা                       প্রথম বক্তা 
  2.                 দ্বিতীয় বক্তা                     দ্বিতীয় বক্তা 
  3.                 দলনেতা                          দলনেতা  
যুক্তি খন্ডন পর্বঃ  এই পর্বে উভয় দলের দলনেতা ৩ মিনিট করে সময় পান বিপরীত দলের যুক্তি খণ্ডন করার।
 
 
  দায়িত্বঃ
 
 উভয়দলের প্রথম বক্তার কাজ হচ্ছে বিষয় এবং দলের অবস্থান পরিস্কার করা ।পুরো বিতর্কটি কেমন হবে সেটা মডেল প্রদান করা ।তবে বিপক্ষ দলের প্রথম বক্তার আরেকটি কাজ হচ্ছে তার আগে বক্তব্য দেওয়া পক্ষ দলের অবস্থানের সীমাবদ্ধতা অলোচনা করে যাওয়া।

দুই দ্বিতীয় বক্তার কাজ হচ্ছে নিজেদের অবস্থান শক্ত করে যাওয়া । তথ্য ও যুক্তি প্রদান করা এবং প্রতিপক্ষ দলের অবস্থানের অসারতা প্রমান করা । 

দুই দলনেতার নিজেদের দলীয় অবস্থান নিয়ে কথা বলবে তবে তাদের থেকে একটি সারমর্ম আশা করা হয় যা মূলত তাদের প্রধান কাজ ।তারা সারমর্ম প্রদানের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান আরো শক্তিশালী করবে ।