রবিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১২

৬ষ্ঠ জাতীয় বিজ্ঞান বিতর্ক উৎসব ২০১২


-: প্রতিযোগিতার তথ্যাবলি :-
রেজিস্ট্রেশনের সময় দলের ৪ জন সদস্যের নাম জমা দিতে হবে। উক্ত নামের বাইরে কেউ বিতর্কে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
রেজিস্ট্রেশন: প্রতি দলের জন্য ফি ৫০০/- (পাঁচশত টাকা মাত্র)
: ২ মে বার, সকাল ৯ টা
: এফ. এইচ হল ডিবেটিং ক্লাব, ফজলুল হক মুসলিম হল।
অনুষ্ঠান সূচি
২ মে ’১২ : হল অডিটরিয়াম
• ব্রিফিং সেশন-সকাল৯টা ৩০মিনিট
• উদ্বোধনী অনুষ্ঠান- সন্ধ্যা ৬টা
৩ মে ’১২ : ২য় রাউন্ড
৪ মে ’১২ : কোয়ার্টার ফাইনাল এবং সেমি ফাইনাল
৫ মে ’১২ : হল মুক্তমঞ্চ।
• ফাইনাল বিতর্ক, বিকাল ৫ টা
• প্রদর্শনী বিতর্ক, বিকাল ৬ টা
• সমাপনী অনুষ্ঠান, সন্ধ্যা ৭ টা ৩০ মিনিট
সার্বিক যোগাযোগ:
মো: রকিবুল হাসান : ০১৫৫৮-৭৩০৬৫৪
মো: ফজলে রাব্বানি চৌধুরী : ০১৯১৮-২৭২০০৯
সাইমুম মাশরেকী : ০১৭৪৪৫০০০৯৪
জি. এম. ফাহাদ বিন মোস্তফা : ০১৭১০৯৬৩২৮৬
-: প্রতিযোগিতার নিয়মবলী :-
বিতার্কিকদের যোগ্যতা:
১. বিতার্কিকদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থী হতে হবে।
২. প্রত্যেক দলে তিনজন করে বিতার্কিক এবং একজন স্ট্যান্ডবাই থাকবেন।
৩. যে চারজন বিতার্কিকের নাম প্রেরণ করা হবে কোন অবস্থাতেই তাদের বাইরের কেউ বিতর্ক করতে পারবেন না।
বিতর্কের পদ্ধতি :
প্রতিযোগিতার বিতর্কসমূহ সংসদীয় পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রথম রাউন্ড:
১. নাম জমা দেয়ার ভিত্তিতে দল সমূহকে ক্রমান্বয়ে ডাকা হবে। দলগুলো লটারির মাধ্যমে স্ব স্ব দলগত ক্রমিক নম্বর সংগ্রহ করবে। 

প্রথম বিতর্ক (১ বনাম ৩২, ২ বনাম ৩১) এভাবে প্রথম রাউন্ডের বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে।
২. প্রথম রাউন্ডের বিষয় প্রতিযোগিতার ব্রিফিং সেশনে জানিয়ে দেয়া হবে এছাড়া ২য় রাউন্ড, কোয়ার্টার ফাইনাল,
সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল রাউন্ডের বিষয় বিতর্কের ১ ঘণ্টা পূর্বে জানিয়ে দেয়া হবে।
৩. প্রতিযোগী দুটি দল মঞ্চে এসে টসের মাধ্যমে পক্ষ বিপক্ষ নির্ধারণ করবে। টসে বিজয়ী দল পক্ষ-বিপক্ষ নির্ধারণের
সুযোগ পাবে। উভয় দলকে বিতর্ক শুরুর নির্ধারিত সময়ের কমপক্ষে ৩০মিনিট পূর্বে রিপোর্ট করতে হবে।
৪. বিতর্কের নির্ধারিত সময়ের পরে উপস্থিতি অনুপস্থিতি হিসেবে গণ্য হবে ।
৫. বিতর্কের স্থান নিয়ে কোন আপত্তি করা চলবে না। সময় সংক্রান্ত কোনরূপ আপত্তি গ্রহণযোগ্য হবে না।
দ্বিতীয় রাউন্ড:
প্রথম রাউন্ডে বিজয়ী দলগুলোর মধ্যে নম্বরের গড় পার্থক্যের ভিত্তিতে (১ বনাম ১৬, ২ বনাম ১৫) দ্বিতীয় রাউন্ডের বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে।
কোয়ার্টার ফাইনাল:
দ্বিতীয় রাউন্ডে বিজয়ী দলগুলোর মধ্যে নম্বরের গড় পার্থক্যের ভিত্তিতে (১ বনাম ৮, ২ বনাম ৭) কোয়ার্টার ফাইনাল বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে।
সেমি-ফাইনাল:
কোয়ার্টার ফাইনালে বিজয়ী দলগুলোর মধ্যে নম্বরের গড় পার্থক্যের ভিত্তিতে (১ বনাম ৪, ২ বনাম ৩) সেমিফাইনাল বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে।
ফাইনাল:
সেমিফাইনালে বিজয়ী দল দু’টোর মধ্যে ফাইনাল বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে।
বিষয় ও পক্ষ নির্ধারণ:
১. বিষয় আয়োজকবৃন্দ কর্তৃক নির্বাচিত হবে এবং এ বিষয়ে কোন আপত্তি গ্রহণ করা হবে না।
২. বিষয় প্রদানের পর টসের মাধ্যমে বিজয়ী দল তাদের পছন্দমতো পক্ষ-বিপক্ষ নির্ধারণের সুযোগ পাবেন।
৩. একবার পক্ষ নির্ধারণের পর তা পরিবর্তনের আর কোন সুযোগ থাকবে না।
বিচারকার্য:
১. আয়োজকবৃন্দ কর্তৃক মনোনীত বিচারক প্যানেল বিচারকার্য সম্পন্ন করবেন।
২. কোন বিচারকের বিপক্ষে কোন দল বা প্রতিষ্ঠানের কোনরূপ অভিযোগ গ্রহণ করা হবে না। এক্ষেত্রে আয়োজকবৃন্দের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

সংসদীয় বিতর্কের নিয়ম:
১. বিতর্ক চলাকালীন বিতর্ক সভাটিকে হাউজ হিসেবে গণ্য করা হবে। বিতার্কিকরা মাননীয় মডারেটরকে ‘মাননীয় স্পিকার’ বলে সম্বোধন করবেন।
২. বিষয়ের পক্ষের দলকে ‘সরকারি দল’ এবং বিপক্ষের দলকে ‘বিরোধী দল’ হিসেবে গণ্য করা হবে। সরকারি দলের প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বক্তাকে যথাক্রমে ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় মন্ত্রী এবং মাননীয় সংসদ সদস্য’ হিসেবে সম্বোধন করা হবে।একইভাবে বিরোধীদলীয় বক্তাদেরকে সম্বোধন করা হবে ‘মাননীয় বিরোধী দলীয় নেতা’ ‘মাননীয় বিরোধী দলীয় উপনেতা’ এবং ‘মাননীয় বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য’ হিসেবে।
৩. সরকারি দলের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর বিরোধী দলীয় নেতা বক্তব্য শুরুর পূর্র্বে দলীয় কৌশল নির্ধারণের জন্য ১ মিনিট সময় (স্ট্র্যাটেজিক টাইম) পাবেন।
৪. এ বিতর্কে ‘পয়েন্ট অব অর্ডার’, ‘পয়েন্ট অব প্রিভিলেজ’ ও ‘পয়েন্ট অব ইনফরমেশন’ এ তিন ধরনের পয়েন্ট উপস্থাপন করা যাবে।
৫. প্রত্যেক বিতার্কিক ৫ মিনিট বক্তব্য রাখবেন। প্রথম ও শেষ মিনিটে সতর্ক সংকেত দেয়া হবে। প্রথম ও শেষ মিনিটে সতর্ক
সংকেত দেয়া হবে। প্রথম ও শেষ মিনিটে কোন পয়েন্ট উত্থাপন করা যাবে না, তবে শেষ মিনিটে শুধুমাত্র পয়েন্ট অব
অর্ডার উত্থাপন করা যাবে। তাছাড়া ৫ মিনিটের ১৫ সেকেন্ড পরেও কোন বক্তা বক্তব্য রাখলে সময় সংক্রান্ত পয়েন্ট অব অর্ডার তোলা যাবে।
৬. তিন মিনিটের আলাদা যুক্তি খণ্ডন পর্ব থাকবে। এ পর্বে ‘পয়েন্ট অব ইনফরমেশন’ ব্যতিত অন্যান্য দু’ধরনের পয়েন্ট উত্থাপন করা যাবে।
৭. যুক্তিখণ্ডন পর্বের বক্তব্য অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী অথবা বিরোধীদলীয় নেতাকে প্রদান করতে হবে।
৮. কোন অসংসদীয় আচরণ কিংবা অসঙ্গতিপূর্ণ ও ভুল তথ্য প্রদান বা অন্য কোন কারণে বিচারকগণ প্যানাল্টি প্রদান করতে পারবেন।
ফলাফল:
১. প্রথম রাউন্ড থেকেই সকল বিতর্কের ফলাফল ব্যালটে দেয়া হবে। এ বিষয়ে কোন আপত্তি গ্রহণ করা হবে না।
২. প্রতিদিনের ফলাফল আয়োজকবৃন্দ কর্তৃক অথবা স্পীকার কর্তৃক বিতর্ক শেষে জানিয়ে দেয়া হবে।
৩. ফলাফলের ক্ষেত্রে বিচারকমণ্ডলীর রায় চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। এই রায়ের বিপক্ষে কোন অভিযোগ গ্রহণ করা হবে না। তবে কোন দল প্রয়োজন মনে করলে লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারকদের রায় সম্বলিত সীট দেখতে পারবেন।
অভিযোগ:
কোন ক্ষেত্রে উপরোক্ত নিয়মাবলীর ব্যতিক্রম ঘটলে রিপোর্টিং ডেস্কে লিখিত অভিযোগ পেশ করা যাবে। আয়োজক কর্তৃপক্ষ সে বিষয়ে খতিয়ে দেখবেন এবং মতামত ও সিদ্ধান্ত প্রকাশ করবেন।


বি:দ্র: প্রতিযোগিতার সকল বিষয়ে আয়োজকদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।